নিজস্ব প্রতিবেদক:

গোপন ক্যামেরায় কাপড় পরিবর্তনের স্পর্শকাতর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে তা নারীর মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাপ প্রদান ও ফেইসবুকসহ বাদীর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নিকট ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করার দায়ে কেশব দত্ত এবং মিন্টু রুদ্র নামে দুই জনকে আটক করে পুলিশ।

হাটহাজারী নিউজ

গতকাল সোমবার (২৮ নভেম্বর) মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইলফোন এবং সিমকার্ডসহ দুই জনকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে বাদীর ব্যবহৃত হোয়াটসএ্যাপ নাম্বারে গত ১১ নভেম্বর কল, বিভিন্ন ভয়েস মেসেজ এবং এসএমএস প্রদান করে।

তিনি জানান, অপরিচিত নম্বর হওয়ায় উক্ত নম্বর থেকে পাঠানো কল, বিভিন্ন ভয়েস মেসেজ এবং এসএমএস এর জবাব না দেওয়ায় গত ১৯ নভেম্বর বাদী কোতোয়ালী থানাধীন বর্তমান ঠিকানার বাসায় অবস্থান কালে দেখতে পান যে উক্ত হোয়াটসএ্যাপ মোবাইল নম্বর থেকে বাদীর ব্যক্তিগত মোবাইল হোয়াটসএ্যাপ নম্বরে কয়েকটি ভিডিও পাঠানো হয়।

উক্ত ভিডিও গুলো চালু করলে দেখতে পান যে বাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় থাকা অবস্থায় গোপন ক্যামেরায় ধারনকৃত কাপড় পরিবর্তনের স্পর্শকাতর নগ্ন ভিডিও আছে।

এছাড়াও বাদীকে বিভিন্ন সময় হোয়াটসএ্যাপে বিভিন্ন ভিডিও, ভয়েস মেসেজ এবং এসএমএস পাঠিয়ে তা আবার মুছে দিত। উক্ত ভিডিও গুলোকে পুঁজি করে বাদীকে বিভিন্নভাবে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাপ প্রদান করে এবং সম্পর্ক না করলে ব্যবহৃত মোবাইলে সংরক্ষিত বাদীর কাপড় পরিবর্তনের স্পর্শকাতর নগ্ন ভিডিও ফেইসবুক সহ বাদীর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নিকট ছড়িয়ে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাদী মান সম্মানের ভয়ে তার সাথে যোগাযোগ করে এবং সে বাদীকে সুমন বলে পরিচয় দেয়। এক পর্যায়ে তার গতিবিধি লক্ষ করার জন্য তার সাথে লালদীঘি গোবিন্দ হোটেলে দেখা করলে সে বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রায় সময় বাদীকে হোয়াটসএ্যাপে কল করে বাদীর নগ্ন দেহ প্রদর্শনের জন্য এবং সাথে রাত্রি যাপন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিল।

তিনি বলেন, বাদী তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্পর্শকাতর নগ্ন ভিডিও গুলো ফেইসবুক সহ বাদীর বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের নিকট ছড়িয়ে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে বাদীকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম টিমের একটি আভিযানিক দল ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইলফোন এবং সিমকার্ডসহ কেশব দত্ত এবং মিন্টু রুদ্র দ্বয়কে আটক করা হয়।